অনেকেই অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে কিন্তু নগদ অর্থ, কর, ব্যয় এবং অন্যান্য আর্থিক সমস্যাগুলি পরিচালনা করার দক্ষতার অভাবে ব্যবসা অলাভজনক কিংবা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। ব্যবসায়ের সাফল্য অর্জনের জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক ব্যবসা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ জানতে হবে। আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান বা ইতিমধ্যে একটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে নিশ্চয় জানেন কিংবা জানতে হবে যে সফলতা কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যবসার সাফ্যলের চাবিকাঠি।

শ্রম ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী,  ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসাগুলোর ২০শতাংশ তাদের প্রথম বছরে ব্যর্থ হয়, ৩০শতাংশ তাদের দ্বিতীয় বছরে ব্যর্থ হয়, এবং ৫০শতাংশ পাঁচ বছর ব্যবসার পরে ব্যর্থ হয়। অবশেষে, ৯০শতাংশ তাদের ব্যবসায়ের দশ বছরে ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র-মাঝারী ব্যবসা স্থাপনা জরিপ অনুযায়ী, আনুমানিক মোট এসএমই সংখ্যা ৭৯,০০,০০০। এর মধ্যে ৯৩.৬ শতাংশ ছোট এবং ৬.৪ শতাংশ মাঝারি। ২০০৩ সালে বেসরকারী একটি খাত জরিপে অনুমান করেছে যে, ১০০টিরও কম কর্মচারী সহ প্রায় ৬০ লক্ষ মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী রয়েছে।

জাতীয় শিল্প নীতি ২০১০ অনুসারে, যে কোনও প্রতিষ্ঠানে ১০ জনের বেশি কিন্তু ২৫ জনের কম শ্রমিক থাকলে তাকে মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ ব্যবসায়ী বলা হয়। আর যদি শ্রমিক সংখ্যা ২৫ থেকে ৯৯ এর মধ্যে থাকে তবে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র এবং ১০০ থেকে ২৪৯ জন কর্মী থাকলে তাদেরকে মাঝারী ব্যবসায়ী হিসেবে বিবেচিত করা হয়।

এবার ভেবে দেখুন শতকরা কতজন প্রতি বছর সফল কিংবা অসফল হচ্ছেন।প্রতিটি ব্যবসা ব্যর্থতার পিছনেই রয়েছে কোন না কোন কারন যা জানা থাকলে এবং সঠিক নিয়ন্ত্রন পরিচালনার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তা…

ইনভেস্টপিডিয়ার গবেষনা অনুসারে, প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসাগুলি টিকে না থাকার মূল চারটি কারণ রয়েছে-

  1. নগদ অর্থ প্রবাহ বা নিয়ন্ত্রন সমস্যা
  2. পাওনা অর্থের সঠিক হিসাব না থাকা
  3. দুর্বল গ্রাহক ব্যবস্থাপনা
  4. মূলধনের সঠিক ব্যবহারের অভাব

তাছাড়াও ১০১টি স্টার্ট আপ ব্যবসার সিবিআই সাইট, এর জরিপ অনুযায়ী: